বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু -১ (Bangabandhu-1 )
আমাদের বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু -১ (Bangabandhu-1 ) কে তার কক্ষপথ পাঠানোর জন্য 10 ই মে মার্কিন স্থানীয় সময় বা 11 মে (Bangladesh standard time) তে পাঠানোর জন্য সমস্ত প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি এবং 16 কোটি মানুষ এই গৌরবের একটি অংশ হতে যাচ্ছে ।
দেশের প্রথম geostationary
communications satellite টি Falcon 9 রকেট
দ্বারা চালু
করা হবে , যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Cape Canaveral launching pad থেকে উপগ্রহটি বহন করার জন্যও পাওয়া গেছে।
থার্স অ্যালেনিয়া স্পেস (একটি ফ্রান্স ভিত্তিক স্যাটেলাইট কোম্পানি ) দ্বারা নির্মিত 3.7-টন
ভরের উপগ্রহটি ডিসেম্বর মাসে চালু করা হয়েছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং কারিগরি কারনে অনেক সময় স্থগিত ছিল। Bangabandhu-1 চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের স্থান নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী হিসেবে বিশ্বের 57 তম দেশ হতে যাচ্ছে।
২০১৫ সালের নভেম্বরে, BTRC satellite টি তৈরি এবং উৎক্ষেপণ করার জন্য Thales এর সাথে 248 মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকে, BTRC রাশিয়ান স্যাটেলাইট কোম্পানি ' Intersputnik ' থেকে ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্লট কিনে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে।প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২৯৬৭ কোটি টাকা মূল্যের ছিল, যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়েছিল ২৭৬৫ কোটি টাকা। এইচএসবিসি ব্যাংক €155 মিলিয়ন বা প্রায় 1,585 কোটি টাকা সরবরাহ করে এবং বাকিটা সরকার থেকে এসেছিল। এটি দেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে অত্যন্ত অবদান রাখবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ বিদেশি অপারেটরদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইড্থ ভাড়া দিয়ে উপগ্রহ সংযোগের চাহিদা মেটায়, যা বছরে প্রায় 14 মিলিয়ন ডলার খরচ করে। Bangabandhu-1 একবার চালু হলে বিদেশি মুদ্রা ব্যয় কমে যাবে ।এটি সরাসরি ডাইরেক্ট অব হোম (D2H) service গুলোকে উন্নত করবে, যা বিশ্বব্যাপী TV entertainment অ্যাক্সেসকে দ্রুত এবং সহজতর করবে । Bangabandhu-1 এর 40 টি Transponders থাকবে এবং এবং তাদের তিনটি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হবে । Bangabandhu-1 স্যাটেলাইটে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২৬টি Q-ব্যান্ড ও ১৪টি C-ব্যান্ড। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ হারে ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ সরবরাহ পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ৪০টি Transponder এর মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্টজ। কিছু টেকনিকাল সীমাবদ্ধতার কারণে এই ১ হাজার পুরোটা ব্যবহার করা যাবে না। তবে কমপক্ষে ১ হাজার ৪০০ মেগাহার্টজ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
Fiber Optic দিয়ে সরবরাহ করা ব্যান্ডউইডথের তুলনায় স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের খরচ আসলে কম না বেশী হবে ???? জানতে হলে পরবর্তী পোস্টে এ চোখ রাখুন
No comments:
Post a Comment